দাবানলের কবলে আবারও ফ্রান্স

এবার ও ভয়াবহ দাবানলের কবলে ফ্রান্সের বোকদু শহর। এরই মধ্যে ৭ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ১০ হাজার বাসিন্দাকে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।



চলতি বছরে এটি চতুর্থ তাপপ্রবাহ। ন্যাশনাল ওয়েদার এজেন্সি মেটিও ফ্রান্স জানিয়েছে, দক্ষিণে শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। জুলাইয়ের মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশেও।


সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নতুন এই দাবানলে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৭ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল পুড়ে ছাই হয়েছে। ফ্রান্সের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের এ দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে এক হাজারের বেশি দমকলকর্মী। তবে তাদের চেষ্টার মধ্যেই অসংখ্য বাড়িঘরও পুড়েছে। এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

দমকল কর্মীরা বলছেন, বনের মরা পাতা আর ডালপালা শুকিয়ে একদম বারুদের মতো হয়ে আছে। সেই সঙ্গে আছে তীব্র বাতাস। এ কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে।

এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো সংহতি জানিয়ে বলেছেন, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, গ্রিস, পোল্যান্ড ও রোমানিয়া আগুন নেভাতে সহায়তার জন্য আসছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামগ্রিকভাবে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। পূর্ব ফ্রান্সের আল্পসের কাছে চার্টরুজ পর্বতমালায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রেকর্ড তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছেন বাসিন্দারা। আশঙ্কা করা হচ্ছে তাপপ্রবাহে সয়া, সূর্যমুখী ও ভুট্টার উৎপাদন কমে যেতে পারে। কারণ পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দিনের বেলায় সেচে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

এদিকে  তাপশক্তি জায়ান্ট ইডিএফ কিছু পারমাণবিক কেন্দ্রে অস্থায়ীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ চুল্লি ঠান্ডা করতে নদীর পানি ব্যবহার করা হচ্ছিল। ব্রিটেন, স্পেনেও ভয়াবহ দাবানল দেখা দিয়েছে। 
Thousands of residents have left their homes and moved to safer places.

এই গ্রীষ্মে ফ্রান্সসহ ও ইউরোপের অনেক দেশেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড স্পর্শ করে। পাশাপাশি খরার কারণে মারাত্মক দাবানলের কারণে পুড়ে ছাই হয় হেক্টরের পর হেক্টর বনভূমি। ক্ষতিগ্রস্ত হন হাজার হাজার মানুষ। পর্তুগাল ও স্পেনে দাবদাহের কারণে মৃত্যু হয় হাজারও মানুষের।
Next Post Previous Post