নতুন ফোন কেনার ‍আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই লক্ষ্য করো উচিত । ভালো ফোন চেনার উপায় ।

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভালো আছেন । সবাইকে স্বাগতম আজকের একটি নতুন পোস্টে । টাইটেল আর Thumbnail দেখে Already বুঝে গেছেন আজকের টপিক কি । আশা করি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন । তো বেশি কথা না বলে আজকের পোষ্ট শুরু করা যাক।



মোবাইল কেনার আগে ২০ টি জরুরি টিপসঃ


বেশ কিছু অর্থ খরচ করে শখের জিনিসটি কিনতে গেলে নানা দোটানায় পড়তে হয়। এটা ভালো হবে তো, নাকি ওটা? এমন আরো অনেক প্রশ্ন। এ যুগে অতিপ্রিয় মোবাইল ফোনসেট কেনার সময় তো চিন্তার শেষ নেই। তাই আপনাদের মস্তিষ্কের চাপ কিছুটা কমিয়ে দিতে মোবাইল ফোনসেট কেনার ২০টি টিপস দেওয়া হলো।


১. ডিজাইন নিয়ে একটু চিন্তা করুন

স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে ডিজাইনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কিছু নেই। এটা একান্ত নিজের রুচির ব্যাপার। বাজারের সব স্মার্ট ফোনের নজরকাড়া ডিজাইন রয়েছে। আবার বিভিন্ন কেস রয়েছে ফোনটিকে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য। কাজেই নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী ডিজাইন পছন্দ করাই ভালো।

২. ওজন এবং অনুভূতি

মোবাইল ফোনসেটের এ বৈশিষ্ট্য নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামায় না। অনেক ফোন আছে যা পকেটে থাকলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে কিছু একটা রয়েছে। মোবাইল ফোনসেট যত বড় হয় সাধারণত এর ওজনও তত বেশি হয়। তবে এসব দেখার আগে খেয়াল করবেন ফোনসেটে ব্যাটারি লাগানো রয়েছে কি না। কারণ ব্যাটারির ওজনটিও বেশ হয়।

৩. পর্দার আকারটিই সবকিছু নয়

স্ক্রিনের আকারটি সবাই দেখেন নতুন মোবাইল কেনার সময়। এখন বড় স্ক্রিনের মোবাইল বেশি জনপ্রিয়। তবে সহজে বহন করতে চাইলে ছোট পর্দার মোবাইল নেওয়া উচিত। চার ইঞ্চি বা সাড়ে চার ইঞ্চি বা পাঁচ ইঞ্চি পর্দার মোবাইল ফোনেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।

৪. ডিসপ্লের গুণগত মান

পর্দার গুণগত মান অনেক প্রয়োজনীয় বিষয়। সবচেয়ে ভালো মানের ডিসপ্লে ১০৮০পি (১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেলস)। তবে এই ডিসপ্লেযুক্ত ফোনের দামটিও বেশ চড়া হবে। খেয়াল করে দেখতে হবে ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে দেখলে ছবি পরিষ্কার দেখা যায় কি না। সাধারণ মানের মোবাইলের ডিসপ্লে ৭২০পি-এর কম হয়ে থাকে।

৫. অপারেটিং সিস্টেম

মৌলিক কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় সিস্টেম। এদিকে আইফোনের রয়েছে আইওএস যার সাম্প্রতিকতম সংস্করণ হলো আইওএস ৭। আবার উইন্ডোজ অপারেটিংয়ের ভক্তের সংখ্যাও নেহায়েতই কম নয়। পছন্দেরটি বেছে নিন। কারণ অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করেই গোটা ফোনের সব কার্যক্রম নির্ধারিত হয়।

৬. থ্রি-জি নাকি ফোর-জি

আমাদের দেশে সবেমাত্র থ্রি-জি কানেকশন চালু হয়েছে। ডাটা কানেকশনের গতি নির্ভর করে এর ওপর। আরো দ্রুত কানেকশন দেয় ফোর-জি। এ যুগের স্মার্ট ফোনের জন্য থ্রি-জি কানেকশন নিতে পারে এমন মোবাইল বেশি ভালো।

৭. ব্যাটারির শক্তি

ব্যাটারির শক্তি নির্ধারিত হয় মোবাইল ফোনটি কেমন তার ওপর ভিত্তি করে। তবে বড় মাপের স্ক্রিনের মোবাইল বেশি ব্যাটারি শক্তি ক্ষয় করে। তাই শক্তিশালী ব্যাটারি প্রয়োজন হবে মোবাইলটি অনেক সময় ধরে চালু রাখার জন্য। এখন ৩০০০ এমএএইচ সবচেয়ে বেশি শক্তির ব্যাটারি হিসেবে বাজারে চালু রয়েছে।

৮. সফটওয়্যার আপডেট রাখা

ফোনের সফটওয়্যার প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। আপনিও যদি নিজের ফোনের সফটওয়্যারগুলো আপডেট রাখেন তাহলে যন্ত্রটি সুন্দরমতো কাজ করবে। নয়তো নানা ভেজাল করবে যেকোনো কাজ করতে। নতুন কোনো অ্যাপস সাপোর্ট করবে না এবং ফোনটি ধীরগতির হয়ে যাবে।

৯. ২ জিবি র‌্যাম নেওয়ার চেষ্টা করুন

ফোনের কার্যক্রমে দ্রুততা দেবে র‌্যাম। ফোন কিনতে বেশ কিছু অর্থ ব্যয় করলে এক জিবি র‌্যামই যথেষ্ট। তবে অল্প কিছু অর্থযোগে বা পছন্দ পরিবর্তনে ২ জিবির ব্যবস্থা করা গেলে অনেক ভালো। আধুনিক মোবাইলগুলো ৩ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম নিয়ে বাজারে আসছে।

ফোনের কার্যক্রমে দ্রুততা দেবে র‌্যাম। ফোন কিনতে বেশ কিছু অর্থ ব্যয় করলে এক জিবি র‌্যামই যথেষ্ট। তবে অল্প কিছু অর্থযোগে বা পছন্দ পরিবর্তনে ২ জিবির ব্যবস্থা করা গেলে অনেক ভালো। আধুনিক মোবাইলগুলো ৩ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম নিয়ে বাজারে আসছে।

১0০. বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে নিন

অবশ্যই বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে নিন আপনি যে মোবাইল কেনবেন সেটির সম্পর্কে তাহলে অনেক তথ্য পেতে পারেন ।

ফোন কেনার সময় ভালো ফোন চেনার উপায়ঃ

স্মার্টফোন হঠাৎ কিনে ফেললেই হলো না। অনেক কিছু দেখে-শুনে-বুঝে তবেই কেনা উচিত ফোন। তা ছাড়া আপনি ঠিক কীভাবে ফোনটি ব্যবহার করবেন তার ওপরও নির্ভর করে স্ক্রিন সাইজ, র‌্যাম এবং ডিসপ্লে কেমন হবে। ফোন কেনার আগে মাথায় রাখবেন এই টিপসগুলো :

১. যদি বাজেট অনেকটা বেশি থাকে, আইফোন কেনাই ভালো। তবে সস্তাদামের সেকেন্ডহ্যান্ড বা অনেক পুরনো ভার্সনের নয়। আপডেটেড ভার্সনের দাম অনেক। অত টাকা পকেটে না থাকলে অ্যানড্রয়েড কিনুন।


২. ব্ল্যাকবেরি যে কিনবেন না তা আর নিশ্চয়ই নতুন করে বলতে হবে না। ঠিক তেমনই উইনডোজ ফোন কেনার আগে দুইবার ভাববেন। প্রথমত, মাইক্রোসফট স্টোরে বেশি অ্যাপ থাকে না আর যদি শুধু ফোন করা আর ফোন ধরার জন্যেই ফোন কিনতে হয় তবে আর দামি স্মার্টফোন কেন, সাধারণ ফোন কেনাই ভালো।


৩. ফোন কেনার আগে সবচেয়ে প্রথমে যেটি দেখবেন সেটি হলো প্রসেসর। ভালো প্রসেসর মানেই ফোন হবে সুপারফাস্ট, গেম খেলার সময়ে ফোন হ্যাং করবেন না এবং ফটো এডিটিং হবে তাড়াতাড়ি। স্ন্যাপড্র্যাগন ৬০০ সিরিজের প্রসেসর থাকে মাঝারি রেঞ্জের ফোনে কিন্তু সবচেয়ে ভালো হলো কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ এবং ৮১০ প্রসেসর। আইফোনের ক্ষেত্রে ৬৪ বিট, এ৯ চিপ হলো বেস্ট যা রয়েছে আইফোন সিক্সে।


৪. ভারতে এখন ফোরজি ডেটা কানেকশন এসে গিয়েছে তাই এখন নতুন ফোন কিনলে ফোরজি সাপোর্ট করবে এমন ফোন কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।


৫. র‌্যাম হলো আর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি পকেটের জোর থাকে তবে ৪ জিবি র‌্যামের ফোন কেনাই ভালো। নাহলে অন্তত ২ জিবি র‌্যাম যেন থাকে। কারণ এখন মাঝারি রেঞ্জের সব ফোনেই ২ জিবি র‌্যাম থাকে এমনকী আইফোন সিক্সেও তাই।


৬. র‌্যাম, ফোরজি, প্রসেসরের পরই দেখবেন ডিসপ্লে। চেষ্টা করবেন অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোন কিনতে। চড়া রোদে দাঁড়ালেও পরিষ্কার দেখতে পাবেন স্ক্রিন। কোয়াড এইচডি ২৫৬০x১৪৪০ পিক্সেলের ফোনগুলির দাম অনেক বেশি। মাঝারি রেঞ্জের ফোন কিনলে রেজিলিউশন যেন অন্ততপক্ষে ১২৮০x৭২০ পিক্সেল হয়।


৭. এর পরই দেখবেন স্টোরেজ কেমন। কখনো এক্সপ্যান্ডেবল স্টোরেজ নেই এমন ফোন কিনবেন না। যাঁরা স্মার্টফোন ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারেন, তাঁরা প্রচুর অ্যাপ ডাউনলোড করেন। এর জন্য অনেকটা স্টোরেজ স্পেস লাগে। যাতে প্রয়োজনে মাইক্রো-এসডি কার্ড ব্যবহার করতে পারেন, সেই অপশনটি খোলা রাখবেন। অন্ততপক্ষে ১৬ জিবি ইন্টারনাল মেমরি আছে এমন ফোনই কিনবেন।


তো আজকে এই পর্যন্তই । মানুষ মাত্রই ভুল হয় । তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন । আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে । কোনো কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্টে জানান ।

আর যেকোনো প্রয়োজনে ফেছবুক   আমার সাথে যোগাযোগ করবেন । ধন্যবাদ 🥰

Next Post Previous Post