১ মাসে ফ্রিল্যান্সার হয়ে ঘরে বসে আয় করুন লাখ টাকা।

আসসালামু আলাইকুম। মেচি টেক ওয়ার্ল্ড এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে সাগতম।



ফ্রিল্যান্সিং  বাংলাদেশের একটি ট্রেন্ডিং শব্দ। এর জনপ্রিয়তার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেমনঃ

১।ফ্রীল্যান্সার তার ইচ্ছা মতো সময়ে কাজ করে নিতে পারেন, ৯-৫ টা এরকম সময় দেয়ার দরকার নেই।

২।কোন একদিন নিজেকে একটু সময় দিতে মন চাইলো, ফ্রীল্যান্সার নিজের ইচ্ছা মতো ছুটি কাটাতে পারেন কারো অনুমতির সেখানে তেমন প্রয়োজন নেই।

৩।ফ্রীল্যান্সিং এ ভালো যোগ্যতা থাকলে আয় এর ক্ষেত্র এর অভাব হয় না, সাথে ভালো মানের অর্থ সেখান থেকে আয় করা যায়, স্যালারি এর মতন আয় টা নির্দিষ্ট নয়।

এরকম অনেক সুবিধার জন্য ফ্রীল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে, আর আপওয়ার্ক হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস।

আজকে আমরা কয়েকটি ব্যাপার নিয়ে কথা বলবো যেটা আপনাকে আপওয়ার্কে প্রথম কাজটি পেতে সহায়তা করবে।


১. যোগ্যতাঃ

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে আপনার যোগ্যতা, প্রথমেই আপনার নিজেকে কর্ম দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। অনেকে জায়গায় দেখা যায় ১ মাসে ফ্রীল্যান্সার হয়ে ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করুন!– এই ধরনের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই চেষ্টা করেন সেই ফাঁদে পা দিতে, দিন শেষে দেখা যায় কাজের কাজ কিছুই হয় না। কুইক মানি বলতে দুনিয়াতে কোন শব্দ নেই, যারা কুইক ইনকামের চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তারা আপনার টাকা দিয়ে ঠিক ই কুইক মানি কামাচ্ছে কিন্তু আপনি সে ফাঁদে পরে টাকা এবং সময় দুটিই হারাচ্ছেন। সুতরাং সময় নিন এবং নিজের দক্ষতা বাড়ান, টাকা আপনার পিছেই দৌড়াবে।


২. কাজের সাথে যোগ্যতার মিলঃ

প্রথমত এমন কাজে অ্যাপ্লাই করুন যে কাজ আপনি সম্পূর্ন করার ব্যাপারে কনফিডেন্ট, কনিফিডেন্স এর সাথে অ্যাপ্লাই করলে আপনার প্রোপোসাল এর মাধ্যমেই ক্লায়েন্ট সেটা বুঝতে পারবে। তাছাড়া  আপনার আপওয়ার্ক এর টাইটেল এর সাথে মিল রেখে কাজে অ্যাপ্লাই করুন, যেমনঃ  ক্লায়েক্ট পোষ্ট করলো তার PHP Expert দরকার, কিন্তু আপনার প্রোফাইল টাইটেল এ দেয়া আপনি একজন Graphic Designer, ক্লায়েন্ট কিন্তু আপনার প্রোফাইল দেখার আগে যাদের প্রোফাইল টাইটেলে PHP এর সাথে সম্পর্কিত টাইটেল দেয়া তাদের বেশি প্রাধান্য দিবে। আপনার যদি কয়েকটি ব্যাপারে স্কিল (যোগ্যতা) থাকে তবে অ্যাপ্লাই করার আগে আপনি আপওয়ার্কের Specialized Profile  অপশন টি ব্যবহার করতে পারেন।


৩. ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্টঃ

ধরন নিলাম আপনার যোগ্যতা তৈরি করেছেন এবং আপওয়ার্কে অ্যাপ্লাই করার জন্য আপনি তৈরি, এখনো নতুন হিসেবে কাজ পাওয়া খুব ই কঠিন। এখন আপনি যখন আপওয়ার্কে নতুন কোন কাজে বিড করবেন চেষ্টা করুন যে ক্লায়েন্ট এর কাজে বিড করছেন তার নাম টা তার আগের কাজের হিষ্ট্রি থেকে খুঁজে বের করতেন, দেখুন অন্য কোন ফ্রীল্যান্সার তাকে নাম ধর রিভিও দিয়েছে কিনা। যদি ক্লায়েন্ট এর নাম পেয়ে থাকেন অ্যাপ্লাই করার সময় HI বা Hello লিখে তার নামতা লিখে আপনার প্রপসাল শুরু করুন, ক্লায়েন্ট এর সাথে একটা ইমোশনাল সংযোগ তৈরি হবে।


৪. মুখোমুখি কথপোকথনঃ

এমন ভাবে প্রপসাল টা লিখুন যে আপনি ক্লায়েন্ট এর সামনে বসে তার সাথে কথা বলছেন, নিজের অভিজ্ঞতার ঝুড়ি বলার চাইতে ক্লায়েন্ট এর সমস্যা আপনি কীভাবে ঠিক করবেন সেই ব্যাপারে বেশী কথা বলুন। ক্লায়েন্ট এর প্রজেক্ট কমপ্লিট করার একটা পথ প্রোপসাল এই বলে দিন, ক্লায়েন্ট আপনাকে ইন্টারভিও এর জন্য ডাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।


৫. আপনার কাজ দেখানঃ

ধরলাম এই জায়গায় এসে আপনি প্রোপসাল ও পেয়ে গেছেন, আপানর ৫০% কাজ কিন্তু শেষ। এখন আপনাকে আপনার কাজ ক্লায়েন্ট এর কাছে দেখানো লাগবে। এই কাজ দেখানো মানে এমন না আগের কাজ গুলোর লিস্ট দিয়ে দিবেন, যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে হায়ার করেনি , ক্লায়েন্ট এর প্রবলেম এর একটা ছোট সমস্যা সমাধান করে ফেলেন। তাকে বুঝান আপনি কাজ টা করতে আগ্রহী এবং সে আপনাকে হায়ার করার সাথে সাথেই আপনি তাকে কাজ টা করে দিতে পারবেন।। দেখবেন আপনার আগ্রহ দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে হায়ার করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।


আশা করি এভাবে এগাতে পারলে আপনি আপওয়ার্কে আপনার প্রথম কাজ টি পেয়ে যাবেন। আজকে এই পর্যন্তই । এমন আর অনেক আপডেট পেতে Matchy Tech World এর সাথেই থাকুন।

Next Post Previous Post